আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠ জুড়ে ভরে গেছে করলা ক্ষেতে। এলাকার কৃষকরা ধান আর আলুর পাশাপাশি বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছেন। তবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে করলা চাষ। যার ফলে করলা চাষ দিন দিন বেড়েই চলছে। ব্যাপক হারে আবাদ আর বেশি সাফল্যের কারণে এলাকাগুলো মানুষের কাছে করলা গ্রাম হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।
লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মাঠে ব্যাপক করলার চাষ হয়। স্থানীয় জাতের করলাসহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড করলা এ এলাকার কৃষকরা চাষ করে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে লালমনিরহাট জেলায় কয়েক হেক্টর জমিতে করলা চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিন লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের টিকটিকি এলাকায় দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ব্যাপক করলার চাষ হয়েছে। অনেক কৃষকই এই করলা চাষ করে ব্যাপক ভাবে লাভবান হয়েছেন। করলা চাষীরা , ইতোমধ্যে জমি থেকে করলা উত্তোলন করে তা বিক্রি শুরু করেছেন। হাট-বাজারে করলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। করলা মন প্রতি ৪হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে ধীরে ধীরে এ দাম আরও বাড়ছে। এই করলা চাষ করেই চাষীদের সংসারে ফিরে এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। করলা চাষ করে এখন অনেকেই স্বাবলম্বী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, এই করলা চাষ করতে কৃষি অফিসের কোনো সহযোগিতা পাই না। সরকারীভাবে প্রতি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত থাকলেও তা কাগজ কলমে। তাদের দেখা পাওয়া যায় না। ফলে ক্ষেতের পোকামাকড় দমনে নিজের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা ও স্থানীয় কীটনাশক দোকানীদের পরামর্শে অদ্যাবধি করলা চাষ করে আসছেন।
কোদালখাতা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, প্রতি কেজি করলা ১শত ২০টাকা দরে বিক্রয় করছি। যা ৪০কেজির মূল্য ৪হাজার টাকা প্রায়।